স্টাফ রিপোর্টঃ প্রশাসন যদি ধর্ষকদের দ্রুত বিচার না করতে পারে তবে ধর্ষকদের জনতার হাতে ছেড়ে দিন জনগণই ধর্ষকদের উপযুক্ত বিচার করবে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় উপজেলায় সারা দেশে ঘটে যাওয়া ধর্ষনের প্রতিবাদ ও সকল ধর্ষকের বিচারের দাবিতে মঠবাড়িয়ার সকল স্তরের ছাত্রজনতার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মশাল মিছিলে উপস্থিত বক্তারা এমন দাবিই তোলেন।
এর আগে রবিবার(৯ মার্চ) রাত ৭ টার পরে মঠবাড়িয়া পৌরসভা চত্বরে থেকে মঠবাড়িয়ার সকল স্তরের ছাত্রজনতার উদ্যোগে সারা বাংলাদেশে ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে মশাল মিছিলের কার্যক্রম শুরু হয়।পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌরসভার সামনে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।প্রতিবাদ সমাবেশে পিরোজপুর জেলা ছাত্রদলের সহ- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জনাব রুবেল খানের সভাপতিত্বে এবং পৌর ছাত্রদল নেতা জসিম উদ্দীনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, মঠবাড়িয়া সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইসমাইল হাওলাদার, মঠবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক জনাব জুলফিকার আমিন সোহেল, সাংবাদিক ইশরাত জাহান মমতাজ,স্বেচ্ছাসেবী বেল্লাল হোসেন, সৌরভ ফরাজী,রাকিব হাসান,সাকিল প্রমুখ। এসময়ে ধর্ষণের বিচার চেয়ে বিভিন্ন প্লাকার্ড প্রদক্ষিণ করা হয়।
বক্তব্যে বক্তারা অতিদ্রুত সকল ধর্ষকদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে প্রশাসনের কাছে দাবি তুলে।যদি প্রশাসন বিচারে বিলম্বিত করে, তবে ধর্ষকদের জনতার হাতে তুলে দেওয়া দাবি করে।
মঠবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জনাব জুলফিকার আমিন সোহেল ২০১৭ সালে তার ৯ বছরের মেয়ে উর্মির সাথে ঘটে যাওয়া হৃদয়বিদারক ঘটনা উল্লেখ করেন।তিনি বলেন উপস্থিত সবাই স্লোগান দিচ্ছেন আমার বোন কবরে,খুনি কেনো বাহিরে।এই মর্মতা আমার বুকে বাঁধে, আমার ছোট্ট মেয়েকে ধর্ষণ করে তার বুকের পাঁজর ভেঙ্গে হত্যা কারী খুনি ছগির এলাকার কিছু প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় এখন বুক ফুলিয়ে ঘুরে।আদালতে কি পরিমানে হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে তা আমি জানি।তাই আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচারে ভার আপনাদের কাছে দিলাম।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ হলে,উপস্থিত সকলে পৌর সভাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে দ্রুত বিচারের দাবির মাধ্যমে মশাল মিছিলের কার্যক্রম শেষ করে।